সিরাম ক্রিএটিনিন এবং অন্যান্য টেস্ট
স্বাভাবিকভাবে আমাদের চোখ সব সময় ভেজা থাকে। চোখের পানি তৈরি হয় চোখের কোণে ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি নামের উৎস থেকে। এই পানি সার্বক্ষণিক তৈরি হতে থাকে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানিটুকু চোখের ভেতরের কোনায় অবস্থিত নেত্রনালি দিয়ে নাকে চলে যায় এবং শোষিত হয়। কোনো কারণে চোখে অতিরিক্ত পানি তৈরি হলে অথবা নেত্রনালি বন্ধ হয়ে গেলে পানি উপচে পড়ে। এ সমস্যার নাম ল্যাক্রিমেশন বা এপিফোরা। এ ক্ষেত্রে চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে। যেকোনো বয়সে, এমনকি শিশুদেরও এ সমস্যা হতে পারে। এতা স্বত্ব কথা শিশুর জন্মের পর জন্মগত কারণে যদি নেত্রনালি বন্ধ থাকে, তাহলে চোখ থেকে অনবরত পানি পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে সাধারণত এক বছরের মধ্যে আপনাআপনি নেত্রনালি খুলে পানি পড়া ভালো হয়ে যায়। তরুণ বয়সে প্রদাহের কারণে নেত্রনালি সরু হয়ে চোখ থেকে পানি পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে নেত্রনালিতে সংক্রমণ হয়ে পুঁজ জমতে পারে। চোখের ভেতরের কোনায় চাপ দিলে পানি ও পুঁজ বের হতে পারে। বয়স্কদের নেত্রনালি বয়সের কারণে সরু হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া বয়সের কারণে চোখের চারদিকের মাংসপেশি দুর্বল হওয়ার কারণেও নেত্রনালি অকার্যকর হয়ে চোখ থেকে পানি পড়তে পারে। চোখের অ্যালার্জি, চোখ ওঠা, গ্লুকোমা, কর্নিয়ায় ঘা, চোখে আঘাত ইত্যাদি কারণেও যেকোনো বয়সে চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে। অতিরিক্ত সর্দি হলে নাকের প্রদাহের কারণে নেত্রনালির ছিদ্র বন্ধ হয়ে চোখ থেকে পানি পড়তে পারে। বিজ্ঞাপন ঠিক হয় নি নেত্রনালির সমস্যায় চোখ দিয়ে পানি পড়লে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা নেওয়া উচিত।