নেত্রনালী অপারেশন
আমাদের চোখে যে ময়লা ও আবর্জনা জমে তা চোখের নেত্রনালীর মধ্য দিয়ে ও নাক দিয়ে বের হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবে আমরা তা টের পাই না। কোনো কারণে নেত্রনালী বন্ধ হয়ে গেলে এই প্রতিদিনকার ময়লাগুলো আর বের হতে পারে না। তখন দেখবেন চোখে পিঁচুটি জমে আছে। চোখ ভেজা আছে এবং ময়লা ও আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। একই সাথে এই চোখের আবর্জনা মধ্যে যদি জমে যায়, তাহলে ওখানে কিছু জীবাণু জন্মায়। তখন জীবাণুগুলো সংক্রমণ করে। প্রথমত নেত্রনালির সমস্যা হলে মানুষ চোখে কম দেখে, তা নয়। অনেকে এ সমস্যা নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকে এবং এই সমস্যার জন্য চিকিৎসা নেয় না। ফলে অনেক সময় সংক্রমণ হয়,। জীবাণু জন্মে ওখানে যদি সংক্রমণ হয় তাহলে ওই সংক্রমণটা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ফলে চোখের কর্নিয়াকে সে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এবং কর্নিয়ার ক্ষতি করে সে ব্যক্তিকে অন্ধ করে দিতে পারে। দ্বিতীয়ত যদি রোগীর ডায়াবেটিস থাকে, যদি সে স্টেরয়েড জাতীয় ইমিউনোসাপ্রেসিভ ওষুধ খায়, তাহলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তখন সেখান থেকে দ্রুত সংক্রমণটা চোখের ভেতরে, বাইরে, এবং মস্তিষ্কে পর্যন্ত চলে যায়। যা জীবনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন। কাজেই চোখ ঠিক রাখতে , নিজেকে অন্ধত্ব থাকে নিরাপদ রাখতে নেত্রনালীর রোগকে হেলা-ফেলা করা উচিত নয়।