রিউমাটয়েড ফ্যাক্টর টেস্ট
একজন ব্যক্তির যদি ব্যথা, ফোলা ও শক্ত জয়েন্ট থাকে তাহলে ডাক্তার তার রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের (RA) সম্ভাবনা রয়েছে কিনা নির্ণয় করার জন্য তার রিউমাটয়েড ফ্যাক্টর টেস্ট দিতে পারেন। এটি একটি সাধারন রক্ত পরীক্ষা যা রক্তে রিউমাটয়েড ফ্যাক্টর নামক অ্যান্টিবডি আছে কিনা এবং কি পরিমানে রয়েছে তা নির্ণয় করতে সাহায্য করে। যার মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তির রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের (RA) মত রোগ আছে কিনা জানা যায়। যদি আপনার রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের (RA) হয় তবে শরীরে “autoantibody” তৈরি হয়। নরমাল অ্যান্টিবডি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস কে প্রতিরোধ করে, কিন্তু “autoantibody” যেমন রিউমাটয়েড ফ্যাক্টর (RF) সুস্থ কোষ ও টিস্যু কে অ্যাটাক করে। পরীক্ষাটি ডাক্তারকে যে কোন ধরনের আর্থ্রাইটিসের পাশাপাশি অন্যান্য অবস্থা বুঝতে সাহায্য করে। কথনও কখনও সুস্থ মানুষের শরীরেও রিউমাটয়েড ফ্যাক্টর নামক অ্যান্টিবডি রক্তে সনাক্ত হয়। সাধারনত আমাদের শরীরে যখন কোন জীবাণু (ব্যাকটেরিয়া , ভাইরাস) প্রবেশ করে তখন তার বিরুদ্ধে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এছাড়া বিভিন্ন কারনে রক্তে বেশী মাত্রার RF থাকতে পারে, যেমনঃ - Sjogren Syndrom - ভাইরাস জনিত হেপাটাইসিস - লুপাস - পরজীবী দ্বারা সংক্রমণ যেমন ম্যালেরিয়া - ফুসফুসের প্রদাহ জনিত রোগ, যেমন সারকোইডোসিস - সিফিলিস - যক্ষ্মা - এছাড়া অন্যান্য কারন এই টেস্টের ক্ষেত্রে নিন্মলিখিত বিষয়গুলো জেনে রাখা ভালোঃ - স্যাম্পল দেবার সময় একই সিরিঞ্জ একাধিক ব্যক্তির ব্যবহার হতে বিরত থাকতে হবে - কখনও কখনও সুস্থ মানুষের শরীরে ও রিউমাটয়েড ফ্যাক্টর নামক অ্যান্টিবডি রক্তে সনাক্ত হতে পারে। - রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের (RA) মত রোগ থাকা সত্তেও অনেকের রিউমাটয়েড ফ্যাক্টর (RF) নিন্ম মাত্রার পাওয়া যায়। - প্রায়ই অন্যান্য ল্যাবরেটরি টেস্টের সাথে এই টেস্টটি দেয়া হয়ে থাকে, যেমনঃ সিবিসি, অ্যান্টিবডি টেস্ট, এএনএ টেস্ট। এছাড়া প্রয়োজনে এক্স-রে ও দিতে পারে। রোগীর প্রাথমিক প্রস্তুতি ও জিজ্ঞাসাঃ - এ পরীক্ষায় রোগীর জন্য বিশেষ কোন প্রাথমিক প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই - কোন ধরনের এন্টিবায়োটিক ঔষধ নিচ্ছেন কিনা তা ডাক্তারকে জানাবেন। - ক্যান্সার রোগের সাথে সম্পৃক্ত কোন ঔষধ বা চিকিৎসা নেয়া হচ্ছে কিনা তা ডাক্তারকে জানাতে হবে। - যে কোন ধরনের জন্ম নিরোধক ব্যবস্থা নিলে তা ডাক্তারকে জানাবেন।