সিবিসি (কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট) টেস্ট
একজন ব্যক্তির রক্তের সামগ্রিক অবস্থা বোঝার জন্য ডাক্তারগন সিবিসি টেস্ট দিয়ে থাকেন। এটির মাধ্যমে চিকিৎসকরা রোগীর ব্যাপারে একটি প্রাথমিক ও সাধারণ ধারনা পেয়ে থাকেন। সিবিসি টেস্ট এর মাধ্যমে নিন্মলিখিত রোগ সম্বন্ধে একটি প্রাথমিক ধারনা পাওয়া যায়ঃ - রক্তে হিমোগ্লোবিন এর পরিমান স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম থাকলে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা এবং হিমোগ্লোবিন এর পরিমান বেশি থাকলে পলিসিথেমিয়া ভেরা বা অন্য সমস্যা নির্দেশ করে। - লিওকেমিয়া - শ্বেত রক্ত কনিকা এর পরিমান বেশি হলে শরীরে ইনফেকশন বা অস্থিমজ্জা বা ইমিউন জনিত সমস্যা নির্দেশ করে। এছাড়া এর পরিমান কম অটোইমিউন ডিসঅর্ডার বা অন্য সমস্যা নির্দেশ করে। - থ্যালাসেমিয়া - রক্তে প্লাটিলেট পরিমান স্বাভাবিক এর চেয়ে অস্বাভাবিক কম বা বেশি হলে দ্রুত চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে হবে। - এছাড়া আরও অনেক ধরনের অবস্থা নির্দেশ করে। মানুষের শরীরে সাধারণত ৫ ধরনের শ্বেত রক্ত কনিকা থাকে। যেমনঃ নিউট্রোফিল, লিম্ফোসাইট (টি-সেল, বি-সেল), মনোসাইট, ইওসিনোফিলস, বেসোফিলস। রক্তে যে কোন ধরনের শ্বেত রক্ত কনিকার অস্বাভাবিক পরিমান উক্ত ব্যক্তির জন্য বিশেষ রোগ নির্দেশ করে। এছাড়া কর্তব্যরত চিকিৎসক সিবিসি রিপোর্ট হাতে পাবার পর, রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হবার জন্য আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার অনুমতি দিতে পারেন। সাধারণ ব্যক্তির সিবিসি রিপোর্ট দেখে কোন সিদ্ধান্তে যাওয়া উচিৎ নয়। আমাদের হসপিটালে আধুনিক ও উন্নত মানের মেশিন ও দক্ষ টেকনিশিয়ান দ্বারা সকল টেস্ট করা হয়। স্বাস্থ্য সেবার জন্য এএমজেড হসপিটাল একটি নির্ভর যোগ্য প্রতিষ্ঠান।